বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
জামালপুর থেকে মোঃ ইমরান মাহমুদঃ জামালপুরে তৃতীয় দফায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে জেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষ। প্রথম দফার রেকর্ড ভেঙে আজ বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট। গো খাদ্য সংকটের মারা যাচ্ছে গবাদি পশু।
সর্বত্র পানি থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ও খুঁজে পাচ্ছেন না বন্যার্তরা। চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় বন্ধ হয়ে পড়েছে যোগাযোগ মাধ্যম। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে আলো দেখার মত নেই জ্বালানি তেলে। চারদিকে থৈ থৈ পানি, ঘরবাড়িতে গলা সমান পানি। ঘরে থাকা সবকিছু তলিয়ে গেছে। সংসারের টুকিটাকি জিনিসপত্র। সব হারিয়ে দিশেহারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন। সবচেয়ে বড় সংকটে রয়েছেন নারী ও শিশুরা। তাঁদের দুর্ভোগের সীমা নেই। সড়কে পানির স্রোত থাকায় এখন যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ। কেউ কোথাও যাবেন, সে উপায় নেই।
১ মাস ধরে পানিতে থেকে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কোথাও চিকিৎসা দলের দেখা নেই। কোথাও সরকারি ব্যবস্থাপনায় উদ্ধারকারী দল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফার বন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন কবলিত হয়েছে। একই সঙ্গে চারটি পৌরসভাও বন্যাকবলিত হয়েছে। ওই ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২৭৯টি গ্রামের ৬ লাখ ১হাজার ৯৬৭ জন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮১০ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ নিয়ন্ত্রক আবদুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। প্রথম দফার পানি বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙেছে। কোনো এলাকা বন্যাকবলিত হতে বাকি নেই।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply